
সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেও যারা এতদিন মালয়েশিয়া যেতে পারেননি—তাদের স্বপ্নপূরণের পথ অবশেষে খুলে গেছে। সরকারের বিশেষ উদ্যোগে সেই কর্মীদের মালয়েশিয়ায় পাঠানোর কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর—প্রথম দফায় বোয়েসেলের ব্যবস্থাপনায় ৬০ জন কর্মী মালয়েশিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন।
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রবাসী লাউঞ্জে উপস্থিত থেকে মালয়েশিয়াগামী এসব কর্মীদের বিদায় জানান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন—সব ধরনের প্রক্রিয়া শেষ করেও যারা যেতে পারেননি, তাদের এই যাত্রা নিশ্চিত করতে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ উদ্যোগ এবং মালয়েশিয়া সরকারের আন্তরিকতা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।
বক্তব্যে তিনি আরও উল্লেখ করেন—জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সমর্থনে আন্দোলনের অভিযোগে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আটক থাকা ১৮৮ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। শুধু ফিরিয়ে আনা নয়, তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থাও সরকার করছে। প্রবাসীদের কল্যাণে বর্তমান সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তাও তুলে ধরেন তিনি। তার ভাষায়—প্রবাসীদের নিরাপত্তা, অধিকার ও সুযোগ বৃদ্ধি করা-ই সরকারের অঙ্গীকার।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্যা ভূইয়া। সেখানে সংবর্ধিত কর্মীদের পক্ষ থেকে রণি মিয়া তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন—দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে তাদের স্বপ্নপূরণে সরকার যে আন্তরিকতা দেখিয়েছে, তা সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক।
উল্লেখযোগ্য যে, গত ৪ অক্টোবর বাংলাদেশ সফরে আসা মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে বৈঠকে, মালয়েশিয়া যেতে না পারা কর্মীদের গ্রহণের অনুরোধ করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস। এরও আগে মে মাসে মালয়েশিয়া সফর করেন ড. আসিফ নজরুল ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী।
গত বছরের ৩১ মে’র মধ্যে সব ধাপ সম্পন্ন করেও যাত্রা করতে না পারা এসব বাংলাদেশিকে এখন বোয়েসেলের মাধ্যমে ধাপে ধাপে মালয়েশিয়ায় পাঠানো হচ্ছে।
